,

নবীগঞ্জে মাধুরী সুইটমিটের মালিক ও কর্মচারী কর্তৃক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে নিপেশ দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

জুয়েল চৌধুরী ॥ নবীগঞ্জে মিষ্টির দোকানে কাজ করতে এসে এক গৃহবধু গণধর্ষনের শিকার হওয়া নারী মামলা দায়ের করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই ধর্ষিতা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করে। এদিকে পুলিশ ধর্ষনের মুলহোতা নিপেশ দাসকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাধুরী সুইটমিট থেকে নবীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার শামছুল ইসলামের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার আসামী সুমন রায় ও জন্টু পাল পলাতক রয়েছে। জানা যায়, ওই ধর্ষিতা দিরাই উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মিন্টু মিয়ার পরিত্যক্তা স্ত্রী ও নবীগঞ্জ ওসমানী রোড এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। সে ৩ কন্যা সন্তান নিয়ে নবীগঞ্জে বাসা ও দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে নবীগঞ্জ গোলচত্তর এলাকায় মাধুরী সুইটমিটে ১৫০ টাকা দৈনিক হাজিরায় কাজ করতে যায়। কাজের এক ফাঁকে দোকানের পিছনে একটি রুমে দরজা বন্ধ করে বানিয়াচঙ্গ উপজেলার ধানপুড়া গ্রামের মৃত করুনা দাসের পুত্র ওই সুইটমিটের দোকানের কারিগর নিপেশ দাস (৩৫) ও আজমিরিগঞ্জ উপজেলার সখিপুর গ্রামের গণেশ রায়ের পুত্র ওই দোকানের কর্মচারী সুমন রায় (৩০) এবং দোকানের মালিক জন্টু পাল তার মুখ গামছা দিয়ে বেধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে একপর্যায়ে তার চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিপেশ ও সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিকালের আব্দুস সালাম ও মিষ্টির দোকানের মালিক জন্টু পাল ঘটনাটির সমাধানের আশ^াস দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনে। পরে দোকানের মালিক ওই ধর্ষিতা মহিলাকে কিছু টাকার বিনিময়ে সবকিছু গোপন রাখতে বললে এতে ধর্ষিতা অপারগতা প্রকাশ করে। ন্যায় বিচারের আশায় হবিগঞ্জ সদর হাসাপতালে ভর্তি হয়ে এ প্রতিবেদকের সাথে কান্নাজড়িত কন্ঠে আলাপকালে রফা-দফার কথা জানায়। পরে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি জানান, ধর্ষিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর